থমকে গেছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ
চট্টগ্রামে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার একের পর এক আপত্তির মুখে থমকে গেছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। এর মাঝে বন্দরের নিরাপত্তাজনিত আপত্তির মুখে সংশোধন করা হচ্ছে এর ডিজাইনও। তার সাথে যুক্ত হচ্ছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবং কর্ণফুলী টানেলের আপত্তি। এ অবস্থায় মানুষের ভোগান্তির পাশাপাশি বেড়ে চলেছে প্রকল্প ব্যয়।
২০১৭ সালে একনেকে অনুমোদন হওয়ার পর এর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালে। কিন্তু কাজ শুরু হয় ১ বছর পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। সিমেন্ট ক্রসিং থেকে কাটগড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার পথের কাজ দ্রুত গতিতে চললেও বাকি পথে অগ্রগতি শূন্যের ঘরে। গত দু’মাসের বেশি সময় ধরে অন্য সবগুলো পয়েন্টের কাজ বন্ধ রয়েছে।
সিডিএর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, বন্দরের নিরাপত্তাজনিত কারণে ফ্লাইওভারের অ্যালাইনমেন্ট পরিবর্তন করতে হয়েছে। মূল অ্যালায়েনমেন্ট থেকে ৩০ ফুট দূরে গিয়ে ফ্লাইওভার করতে হবে।
৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের পুরোটাই বহন করছে সরকার। কিন্তু কাজের ধীর গতির জন্য সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। বিশেষ করে বিমানবন্দর কিংবা পতেঙ্গা যাওয়ার মূল সড়ক যেমন এটি, তেমনি এখানে রয়েছে কর্ণফুলী ইপিজেডের অবস্থান। যে কারণে নগরবাসীর ভোগান্তি বেড়েই চলেছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ফ্লাইওভারের কাজ চলায় নিচের রাস্তা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি নিয়মিত সংস্কার করতে হয়। সেটা না হলেই ভোগান্তি হয়।
এদিকে বন্দরের নিরাপত্তাজনিত আপত্তির মুখে এক্সপ্রেসওয়েটি আরও ৩০ মিটার সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এতে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চিন্তিত সিডিএ।নগরীর লালখান বাজার থেকে শুরু হয়ে চলতি পথে আগ্রাবাদ, বারিক বিল্ডিং, কাস্টমস মোড়, ইপিজেড এবং কর্ণফুলী ইপিজেড এলাকায় র্যাম্প নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। এলিভেটেড এক্সপ্রেসে মাত্র ৩০ মিনিটে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে পৌঁছানো যাবে।